দেশের দুই স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত দুই নার্সকে পদোন্নতি দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নার্সিং সেবা-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মেজবাউল হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিম্নবর্ণিত নার্সিং কর্মকর্তাকে তাঁদের নামের পার্শ্বে বর্ণিত পদ ও প্রতিষ্ঠানে বদলিপূর্বক পদায়ন করা হলো।’
পদায়ন পাওয়া নার্সরা হলেন, বগুড়া নার্স কলেজের প্রভাষক এ কে এম আবদুল করিম ও বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পাবলিক হেলথ নার্স মোসাম্মৎ পারুল নাহার।
করোনাকালে স্বেচ্ছাসেবী কাজে বিশেষ অবাদান রাখায় শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০ পেয়েছেন ফরিদপুরের ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ফাইনাল প্রফের শিক্ষার্থী মো. আরমান হোসেন দীপ্ত।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বঙ্গভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। সভায় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম মোমেন, আইসিওয়াইএফ'র সভাপতি তাহা আয়হান, মালদ্বীপের যুব, ক্রীড়া এবং সামাজিক ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আহমেদ মাহলুফ ও বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার হোসেন প্রমুখ।
এ সময় অনুষ্ঠানে ‘মোস্ট ইন্সপ্রায়ারিং ভলান্টিয়ার স্টোরি’ ক্যাটাগরিতে শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন মো. আরমান হোসেন দীপ্ত। তাঁকে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
আরমান হোসেন দীপ্ত ফরিদপুর জেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অনুপ্রয়াসের সভাপতি। ২০১২ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন সেবামূলক কাজের সাথে জড়িত। করোনাকালীন সময়ে জরুরি অক্সিজেন সেবা ও লকডাউনে অসহায় মানুষের কাছে খাবার পৌছে দেওয়াসহ বন্যার্তদের মাঝে জরুরি খাদ্য ও ওষুধ বিতরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড -২০২০ ছাড়াও করোনাকালে অবদান রাখার জন্য জাতিসংঘ স্বেচ্ছাসেবক আয়োজিত আইভিডি ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০, কোভিড-১৯ হিরো অ্যাওয়ার্ড, ইয়ুথ স্পিরিট অ্যাওয়ার্ড, ইয়ুথ ভলান্টিয়ার এক্টিভিজম অ্যাওয়ার্ডসহ বেশ কিছু সম্মাননা পেয়েছেন আরমান হোসেন দীপ্ত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিশিষ্ট নাক, কান গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেছেন, ১৬ বছরের কমবয়সী কারো হাতে মোবাইল ফোন দেয়া উচিত নয়। অনেক্ষণ মোবাইল ফোনে কথা বললে মাথা ব্যথা, ঘুম না আসা, সহজ বিষয়ও ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। একটানা বেশি সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করার কারণে তিনটা জয়েন্ট অকেজো হচ্ছে- শোল্ডার, এলবো, রিস্ট জয়েন্ট।
বৃহস্পতিবার সকালে চট্রগ্রামের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (ইউএসটিসি) আয়োজনে মাওলানা ভাসানী অডিটোরিয়ামে ‘মোবাইল ফোন : স্বাস্থ্য ঝুঁকি’ শীর্ষক এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপস্থাপনায় মোবাইল ফোন ব্যবহার ও এর ঝুঁকি থেকে বাঁচতে কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন অধ্যাপক ডা. প্রান গোপাল দত্ত। সুপারিশমালায় তিনি বলেন- দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ফোনে কথা বলা উচিত নয়। তিন মিনিটের বেশি কথা না বলাই ভালো। কথার মাঝখানে ১৫ মিনিট বিরতি নেয়া, প্রয়োজনে স্পিকার বা হেডফোন ব্যবহার করা। এছাড়াও মোবাইলের বেইজ স্টেশন থেকে দূরে থাকতে হবে। রাস্তা পারাপারের সময় ফোনে কথা নয়।
আইসিইউতে মোবাইল ব্যবহারের ব্যাপারে প্রাণ গোপাল বলেন, সার্জনরা যখন অপারেশন করেন তখন ওটির ভেতর মোবাইল ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, ওই মোবাইলের রেডিয়েশনটা রোগীকে দিচ্ছেন। আর অপারেশনকালীন যেসব মেশিন আমরা ইউজ করি তার ম্যালফাংশনিং হতে পারে। অনেকেই অপারেশন করছেন, ওই সময় অনেকের মোবাইল আসছে। ওই সময় যদি এমন কোনো সংবাদ আসে যে, আপনার ছেলে এক্সিডেন্ট করছে, তখন তিনি কীভাবে অপারেশন কন্টিনিউ করবেন? অথবা আপনার বাবা মারা গেছেন। তখন এ সংবাদ শোনার পর আপনি কীভাবে অপারেশন কন্টিনিউ করবেন?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণার বরাত দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এ উপাচার্য বলেন, মোবাইল ফোন ও এর বেইজ স্টেশন থেকে আনলাইকলি ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার ও স্লেভারি গ্লান্ড টিউমারের ঝুঁকির শঙ্কা রয়েছে। মোবাইল ফোন আসার পর আমেরিকায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৪ গুণ। মৃত্যুর হার বেড়েছে ১০ গুণ। তাছাড়া মোবাইলে ট্র্যাপ এখন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আর ফেসবুক তো আছেই। এক গবেষণায় তথ্য- ফেসবুক মানুষের মস্তিস্কে কোকেনের মতোই আসক্তি সৃষ্টি করে।
ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত আরও বলেন, বিল গেটস ১৪ বছরের আগ পর্যন্ত নিজের কোন ছেলেকে মোবাইল দেননি। মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিল গেটস জানেন বলেই দেননি।
২৫ টাকার একটি ইনজেকশন (ইফিডিন) ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা বিক্রির দায়ে তিন ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সময়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল এলাকায় সেবা নিতে আসা রোগীদের নানা ভাবে প্রতারণার অভিযোগে ৫ দালালকে আটক করে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে জেল জরিমানা করা হয়।
রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাতের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা আদায় করেন। এ সময় ঝিনাইদহ র্যাবের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল গেটে অবস্থিত মাতৃছায়া, সিদ্দিক ও পান্না ফার্মেসির মালিকরা যোগসাজস করে ২৫ টাকার ইফিডিন ইনজেকশনটি ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা দামে বিক্রি করতো। এ ঘটনায় গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং মাতৃছায়া ও পান্না ফার্মেসিকে ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা ও সিদ্দিক ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এদিকে, একই সময়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৫ দালালকে আটক করে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে জেল জরিমানা করা হয়। দন্ডিত দালালরা হচ্ছে সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের জলিল মালিতার ছেলে সজল মালিতা (৩০), পুর্ব নারায়ণপুর গ্রামের তাসেম আলীর ছেলে জামিরুল ইসলাম (৩৫), দুর্গাপুর গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ছেলে রানা (২৫), কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা গ্রামের ভোলার ছেলে সুজন হোসেন (২৮) ও সদর উপজেলার ধোপাবিলা গ্রামের ছবেদ আলীর ছেলে সানাউল্লাহ (৪৫)।
র্যাবের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হচ্ছে এমন অভিযোগে দুপুরে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় এসময় ৫ জনকে আটক করা হয়।